গাইবান্ধা প্রতিনিধি :
স্মরণকালের ভয়াবহ বন্যার সম্মুখীন হয়েছে গাইবান্ধার মানুষ। ঘরবাড়িসহ বন্যা কেড়ে নিয়েছে তাদের সহায় সম্বল। দুমুঠো খাদ্যের সন্ধানে বন্যাদুর্গতরা যখন ছোটাছুটি করছিল এ পরিস্থিতে কোনো ব্যক্তি-প্রতিষ্ঠানকে যথাযথ উদ্যোগ নিতে দেখা যায়নি।
এমন দুর্যোগের সময় বন্যার্তদের পাশে এসে দাঁড়িয়েছে ‘এভারগ্রিন জুম বাংলাদেশ’ নামের স্বেচ্ছাসেবী সংগঠনটি। সংগঠনটির স্বেচ্ছাসেবী কর্মীরা ত্রাণ সামগ্রী নিয়ে বন্যাদুর্গতদের দ্বারে দ্বারে ছুটে গেছেন। শুধু ত্রাণ সামগ্রী নয়, গৃহহারা মানুষের আসবাবপত্র উদ্ধারসহ নানা ধরনের সহায়তা দেয়া শুরু করেন তারা। এ সংগঠনটির নেতারা ভলান্টিয়ারদের নিয়ে ঘুরতে থাকেন পানিবন্দি মানুষের দুয়ারে। জুম বাংলাদেশের এই উদ্যোগে অনেকেই ত্রাণবিতরণ শুরু করেন। সূত্রানুযায়ী, এভারগ্রিন জুম বাংলাদেশের পক্ষ থেকে এ পর্যন্ত ৩০ হাজার মানুষকে ত্রাণ দেয়াসহ বিভিন্ন ধরনের সহায়তা প্রদান করা হয়েছে। ১৫ হাজার মানুষকে নিরাপদ পানি, ৩৫ হাজার প্যারসিটামল ওষুধ, ২০ হাজার বোতল কার্বলিক এসিড, ছয় হাজার প্যাকেট বিস্কুট, ৪০ হাজার পানি বিশুদ্ধকরণ ট্যাবলেট, ১৫ হাজার প্যাকেট খাবার স্যালাইন, খিঁচুড়িসহ পাঁচ হাজার মানুষকে দেয়া হয়েছে অন্যান্য খাদ্য সামগ্রী। এছাড়া গবাদি পশুর জন্য খাদ্যও সরবরাহ করছে সংগঠনটি। এদিকে সুবিধা বঞ্চিত শিশুদের অক্ষর-জ্ঞান ছাড়াও নৈতিক শিক্ষা দেয়া হচ্ছে। শিক্ষাদানের পাশাপাশি বৃক্ষরোপণ, বস্ত্র বিতরণ, রক্তদান, স্বাস্থ্যসেবা ও সচেতনতা বৃদ্ধিতে কাজ করে যাচ্ছেন সংগঠনের কর্মীরা। যার সবই হচ্ছে স্বেচ্ছাশ্রমের ভিত্তিতে। সংগঠনটি শিক্ষার আলো ছড়িয়ে সুবিধা বঞ্চিত শিশুদের শিক্ষা প্রদান, মানসিক বিকাশ সাধন ও সুন্দর ভবিষ্যৎ গঠনের অনুপ্রেরণা দিয়ে যাচ্ছে। তাদের সেবামূলক কর্মকাণ্ড দেখে মানুষের মাঝে ব্যাপক সাড়া পড়েছে। জুম বাংলাদেশ গাইবান্ধা শাখার সমন্বয়ক মো. মেহেদী হাসান জানান, আমরা বিভিন্ন দাতাদের কাছ থেকে অর্থ সংগ্রহ করাসহ সংগঠনের অর্থ সমন্বয় করে বন্যা কবলিতদের মধ্যে এ কার্যক্রম চালাচ্ছি।
জুম বাংলাদেশ এর প্রতিষ্ঠাতা ও পরিচালক এসটি শাহীন প্রধান বলেন, বন্যাদুর্গতদের জন্য আমাদের সহায়তা প্রদান কার্যক্রম চলমান থাকবে। এছাড়া ডেঙ্গু প্রতিরোধে মশারি ও গামছা বিতরণ করা হবে।
Leave a Reply