যুগ-যুগান্তর ডেস্ক :
গাঁদাল বা গন্ধভাদালি একটি লতানো গাছ। গাঁদাল পাতা অনেকেই হয়তো চিনেন না। আবার গন্ধে টেকা যায় না বলে অধিকাংশ মানুষের একেবারেই অপছন্দের এটি। আর পাঁচটি পাতা থেকে এই গাঁদাল পাতাকে আলাদা করা যায় একমাত্র এর বাজে গন্ধের জন্য।
কিন্তু বেস্বাদ এবং বাজে গন্ধের জন্য এই পাতা সকলে এড়িয়ে গেলেও জানেন কি, এই পাতা আসলে রোগ প্রতিরোধক। এই পাতা অনেক কঠিন রোগ থেকে মুক্তি দেয়। চলুন তবে জেনে নেয়া যাক এর গুনাগুণ সম্পর্কে-
আমাশয় কমায়
আমাশয় হলে গাঁদাল পাতা বেশ উপকার দেয়। প্রথমে গাঁদাল পাতা বেটে নিন। এরপর ২-৪ চামচ গাঁদাল পাতার রস হালকা গরম করে নিন। তারপর তাতে ৯-১০ ফোঁটা মধু মিশিয়ে খেয়ে নিন। আমাশয় থেকে মুক্তি পেয়ে যাবেন।
অর্শ থেকে মুক্তি
অনেকেই অর্শের সমস্যায় কষ্ট পান। তাই ৩ গ্রাম কাঁচা হলুদের সঙ্গে ২ চামচ গাঁদাল পাতার রস মিশিয়ে খেয়ে নিন। দু-একদিনের মধ্যেই অর্শের যন্ত্রণা থেকে মুক্তি পাবেন। নিয়মিত এটি খেলে অর্শের সমস্যার সমাধান সম্ভব।
মাথা ব্যথা কমে
মাথা ধরা, শরীর ব্যথা, ইনফ্লুয়েঞ্জা সাদৃশ্য লক্ষণে এই পাতার রস খেলে দ্রুত আরাম পাওয়া যায়।
বাতের ব্যথা কমে
বাতের ব্যথাতেও আরাম দেয় এই গাঁদাল পাতা। গাঁদাল পাতার সঙ্গে ক্যাস্টার অয়েল মিশিয়ে ব্যথা জায়গায় ভালো করে মালিশ করুন। শুধু তাই নয়, গাঁদাল পাতার রসের সঙ্গে এক কোয়া রসুন চিবিয়ে খেলে তা আমবাতের সমস্যাও দূর করে।
মূত্রনালীর কষ্ট দূর করে
মূত্রনালীর প্রদাহের সমস্যাও খুবই কষ্টদায়ক। সেক্ষেত্রে গাঁদাল পাতার রসে ৩ থেকে ৪ চামচ কাঁচা দুধ মিশিয়ে খেলে উপকার পাওয়া যাবে।
ক্লান্তি মেটায়
অনেক সময়ে বেশি পরিশ্রম হলে হাতে পায়ে যন্ত্রণা হয়। এই সমস্যারও সমাধান করতে পারে গাঁদাল পাতা। সেক্ষেত্রে গাঁদাল পাতা বেটে তা তিলের তেলের সঙ্গে মিশিয়ে সারা শরীরে মালিশ করতে হবে।
অঙ্গ সচল করতে
শরীরের কোনো অঙ্গ অবশ হয়ে গেলে গাঁদাল পাতার রস খেলে বা ওই স্থানে গাঁদাল পাতা মালিশ করলে আস্তে আস্তে সচল হয় অঙ্গ।
সর্বোপরি, সবকিছুর ক্ষেত্রে অবশ্যই আগে চিকিত্সকের পরামর্শ নেয়া উচিত।
Leave a Reply