নিজস্ব প্রতিবেদক :
পুরো শরীর জুড়ে পাটের তৈরি ছালা। এক হাতে বল্লম। গলায় লম্বা লম্বা জিঞ্জির, সঙ্গে ঝুলছে তালা। এই অদ্ভুত বেশের কারণে ছালা বাবা নামেই লোকমুখে পরিচিতি। আর সেই সুযোগে নিজেকেও তাত্ত্বিক বলে দাবি করছেন শাহ হায়দার আলী নামে এই ব্যক্তি।
বলা হচ্ছে, হবিগঞ্জ সদর আধুনিক হাসপাতালে দীর্ঘদিন ধরে রোগী ও সাধারণ মানুষের সঙ্গে প্রতারণা করা ওই ছালা বাবার কথা।
জানা যায়, নবীগঞ্জ উপজেলার উজিরপুর গ্রামে শাহ হায়দার আলী ওরফে ছালা বাবার বাড়ি। দীর্ঘ কয়েক বছর ধরে বিভিন্ন জায়গায় মানুষের সঙ্গে প্রতারণা করে আসছেন তিনি।
সরেজমিনে দেখা যায়, হাসপাতালের ইমার্জেন্সি বিভাগের সামনে বসে ছালা বাবা বিভিন্ন ভঙিমা প্রদর্শন করছেন। এতে অনেকেই ভয়ে আঁতকে ওঠছেন। হাসপাতালে চিকিৎসা নিতে আসা রোগীর স্বজনদের ডেকে নিয়ে বিভিন্ন ধরনের কথা বলছেন। আবার তার কথা না শুনলে দিচ্ছেন অভিশাপও। এতে রোগী ও স্বজনরা বিভ্রান্তিতে পড়ছেন।
এছাড়া যখন-তখন হাসপাতালে আসা বৃদ্ধ ও নারীদের ধরেও টানা হেঁচড়া করতে পিছপা হচ্ছেন না ছালা বাবা। অনেক সময় তাদের জোরে ধমকও দিচ্ছেন। এতে রোগী ও স্বজনদের মধ্যে আতঙ্ক ধরিয়ে নিজের স্বার্থ হাসিলের অভিযোগ উঠেছে তার বিরুদ্ধে।
এসব অভিযোগ প্রসঙ্গে ছালা বাবা বলেন, আমি কারো সঙ্গে প্রতারণা করিনি। ৩০ বছর ধরে মানুষের সেবা করছি আমি। কারো কাছ থেকে কখনো কোনো টাকা পয়সা নেই নাই।
এদিকে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ এখন পর্যন্ত তার বিরুদ্ধে কোনো ব্যবস্থা নেয়নি। এতে রোগী ও তাদের স্বজনরা ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন। পাশপাশি অভিযুক্ত ছালা বাবাকে হাসপাতাল থেকে বিতারিত করার দাবিও জানান তারা।
অভিযোগ প্রসঙ্গে হবিগঞ্জ সদর আধুনিক হাসপাতালে কর্তব্যরত এএসআই মনির হোসেন বলেন, শাহ হায়দার আলী কয়েকদিন ধরে হাসপাতালের রোগী ও স্বজনদের বিভিন্ন প্রলোভন দেখিয়ে টাকা হাতিয়ে নিচ্ছেন। শিগগিরই এ বিষয়ে ব্যবস্থা নেয়া হবে।
Leave a Reply