কুমিল্লা প্রতিনিধি :
কুমিল্লায় ক্রমশ বাড়ছে ডেঙ্গু রোগীর সংখ্যা। প্রতিদিন যে পরিমাণ রোগী মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল থেকে সুস্থ্য হয়ে বাড়ি ফিরছেন তার থেকে প্রায় দেড়গুণ রোগী হাসপাতালে ভর্তি হচ্ছেন।
জেলা সিভিল সার্জন ডা. মো. মজিবুর রহমান ও কুমিল্লা মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল এর পরিচালক ডা. স্বপন কুমার অধিকারি মঙ্গলবার রাতে এ কথা নিশ্চিত করেছেন। এ দিকে, মঙ্গলবার বিকেলে সরেজমিনে কুমিল্লা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে দেখা গেছে, হাসপাতালে শয্যা সংকটের কারণে ডেঙ্গু রোগীদের বারান্দায় রাখা হয়েছে।
কুমিল্লা মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল এর আবাসিক চিকিৎসক ডা. অরুপ কুমার রায়ের মঙ্গলবার সন্ধ্যায় বলেন, আগস্ট মাসের তিন থেকে ছয় তারিখ চিকিৎসাধীন রোগী যাথাক্রমে ৮১,৭৮,৭০,৬৮ জন। এই সময়ে ছাড়পত্র পেয়েছে ১৬২ জন।
তিন মাসের শিশু সাফিসা ৪ তারিখ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। তার বাবা মো. নাছির উদ্দিন জানান, নাঙ্গলকোটে একটি ক্লিনিকে পরীক্ষা করে ডেঙ্গু ধরা পড়ে। এরপর হাসপাতালে নিয়ে আসি। অবস্থার তেমন কোনো পরিবর্তন হয়নি। তিন মাসে পরিবারের কেউ কুমিল্লার বাইরে যায়নি।
মুরাদনগর থেকে আসা নয় মাসের শিশু জান্নাতের মা জানান, শিশুর বাবা ঢাকায় থাকেন। তবে তিনি ডেঙ্গু আক্রান্ত নন। গত কয়েক মাসে শিশু ও আমি নিজ কোথাও বেড়াতে যাইনি। তারপরও আমার শিশু ডেঙ্গুতে আক্রান্ত হয়েছে।
কুমেক হাসপাতাল পরিচালক ডা. স্বপন কুমার অধিকারি জানান, ডেঙ্গু রোগীর স্বজনদের সঙ্গে সোমবার মতবিনিময় সভা করা হয়েছে। ডাক্তার, নার্সসহ সংশ্লিষ্ট সবাইকে দিক নির্দেশনা দেয়া হয়েছে। ডেঙ্গু রোগীদের পৃথক ফ্লোরে রাখা হয়েছে। দুটি ডেঙ্গু আক্রান্ত শিশু আছে। তারা প্রথমে শিশু বিভাগে ছিলো, এখন সংক্রামক বিভাগে আছে। হাসপাতালের জরুরি বিভাগ ও ডেঙ্গু কর্নার ইনচার্জ সালমা আক্তার ও মহিলা ওয়ার্ড থেকে প্রাপ্ত সর্বশেষ তথ্য মতে, মঙ্গলবার সকাল থেকে রাত ৮টা পর্যন্ত মোট ভর্তি ৩৩ জন।
জেলা সিভিল সার্জন ডা. মুজিবুর রহমান জানান, কুমেক হাসপাতাল, জেলা সদর ও বেসরকারি হাসপাতালে মোট ভর্তি আছে ১০৭ জন। এ পর্যন্ত ছাড়পত্র পেয়েছে ২৮৯ জন। সোমবার ছাড়পত্র পেয়েছে ৪০ রোগী।
Leave a Reply