কক্সবাজার প্রতিনিধি
সরকারের নির্দশনা অনুযায়ী এবং দেশের খামারিদের কথা চিন্তা করে মিয়ানমার থেকে গবাদি পশু আমদানি নিষিদ্ধ ঘোষণা করেছে সরকার। পরবর্তী নিদের্শনা না দেওয়া পর্যন্ত মিয়ানমার থেকে পশু আমদানি করা যাবে না। এই বিষয়ে শীঘ্রই বিজিবি ও শুল্ক স্টেশনকে অবহিত করা হবে বলে জানিয়েছেন টেকনাফ উপজেলা নির্বাহী অফিসার মোহাম্মদ রবিউল হাসান। জানা যায়, প্রশাসনের এমন নির্দেশনায় গত তিনদিন ধরে টেকনাফের শাহপরীর দ্বীপ করিডরে মিয়ানমার থেকে কোনো পশু আমদানি হয়নি। আকস্মিক গবাদিপশু আমদানি বন্ধ থাকায় স্থানীয় বাজারে নেতিবাচক প্রভাব পড়েছে। এসব কারণে সীমান্ত বাণিজ্য ব্যবসায়ীরা এবং গবাদি পশু আমদানির জন্য বিনিয়োগকারী ব্যবসায়ীরা পড়েছেন বিপাকে।
গবাদি পশু ব্যবসায়ী স্থানীয় ইউপি সদস্য মো. শরীফ বলেন, দেশে গবাদি পশুর চাহিদা পূরণে মিয়ানমার থেকে পশু আমদানি করা হয়। বর্তমানে পশু না আসায় এপারে গবাদি পশুর চাহিদা ও দাম বৃদ্ধি পেয়েছে। তাছাড়া মিয়ানমারের পশু ব্যবসায়ীদের কোটি কোটি টাকা বিনোয়োগ করেছে এদেশের ব্যবসায়ীরা। কুরবানিকে সামনে রেখে মিয়ানমারে অনেক পশু মজুদ করা হয়েছে। ইতোমধ্যে পশু বোঝাই কিছু ট্রলার পথে রয়েছে। এমন অবস্থায় সরকারের এমন সিদ্ধান্ত মিয়ানমারের রপ্তানিকারকদের সঙ্গে এদেশের ব্যবসায়িক ভুল বোঝাবুঝির সৃষ্টি হবে, যা পরবর্তী সময়ে পশু আমদানিতেও প্রভাব ফেলবে।
এদিকে গবাদি পশু আমদানি নিষিদ্ধ করায় দেশীয় গবাদি পশু প্রতি ১০ থেকে ১৫ হাজার টাকা বৃদ্ধি পেয়েছে ফলে যারা নিম্ন মধ্যবিত্ত বা প্রথমবার কুরবানি দেওয়ার জন্য প্রস্ততি নিচ্ছেন তারা পড়েছেন বিপাকে। ফলে অনেকে বিশেষ করে সীমিত বাজেটের মানুষ কুরবানি দেওয়ার প্রতি নিরুৎসাহিত হচ্ছেন। আবার অনেকে সরকারের এমন সিদ্ধান্তকে স্বাগতম ও জানিয়েছেন। তবে এই সিদ্ধান্ত আরও আগে দিলে ব্যবসায়ীদের কোটি কোটি টাকা লোকসানের হাত থেকে রক্ষা করা যেত এমন অভিমত ব্যক্ত করেছেন সীমান্ত বাণিজ্যের সঙ্গে জড়িত অনেক ব্যবসায়ী।
পশু আমদানি নিষিদ্ধ করায় সরকার লাখ লাখ টাকা রাজস্ব হারাচ্ছে। ব্যবসায়ীদের লোকসানের কথা ভেবে পশু আমদানি বন্ধের সিদ্ধান্ত প্রত্যাহারের দাবি জানান স্থানীয় ব্যবসায়ীরা।
Leave a Reply