টাঙ্গাইল প্রতিনিধি:
ঢাকা-টাঙ্গাইল-বঙ্গবন্ধু সেতু মহাসড়কের গাজীপুরের চন্দ্রা থেকে কালিহাতির এলেঙ্গা পর্যন্ত চার লেনের কাজ চলছে। চার লেনের আশি ভাগ কাজ শেষ হওয়ায় সুবিধা পাচ্ছেন ঈদে ঘরমুখো মানুষ।
এদিকে, উত্তরবঙ্গের ২৬টি জেলার ৯২টি রোডসহ ১২২ রোডের যানবাহন এ মহাসড়ক দিয়ে চলাচল করায় রাস্তায় যানবাহনের চাপ অত্যাধিক বেশি থাকায় এ মহাসড়কে ধীরগতি যানবাহন চলাচল করছে।
শুক্রবার ভোর সকালে নাটিয়াপাড়া এলাকায় একটি যাত্রীবাহী পরিবহন উল্টে খাদে পড়ে গেলে কিছুটা যানজটের সৃষ্টি হয।
উত্তরবঙ্গগামী গাড়ির চাপ বেড়ে যাওয়ায় রাত থেকে মহাসড়কের বিভিন্ন পয়েন্টে যানজটের সৃষ্টি হয়। এছাড়া মহাসড়কের পুংলি, এলেঙ্গা ও রাবনা বাইপাস এলাকায় দুর্ঘটনায় গাড়ি বিকল হয়ে যায়। দুই ঘণ্টা পর যানবাহন চলাচল কিছুট স্বাভাবিক হলেও রাস্তায় অতিরিক্ত গাড়ি চাপের কারণে থেকে থেমে চলছে যানবাহন। এর মধ্যে ফিটনেজবিহীন যানবাহন রাস্তায় বিকল হওয়া ও ছোট খাটো দুর্ঘটনার ও বঙ্গবন্ধু সেতু টোল প্লাজায় টোল আদায়ে ধীরগতির কারণে যানজট সৃষ্টি হচ্ছে।
ঈদে ঘরমুখো মানুষ ও কোরবানির পশুবাহী ট্রাকগুলো যাতে নির্বিঘ্নে যানজটমুক্ত পরিবেশে কোন প্রকার দুর্ভোগ ছাড়াই শান্তিতে গন্তব্যে পৌঁছাতে পারে তার সকল ব্যবস্থাই গ্রহণ করেছে টাঙ্গাইল জেলা পুলিশ।
মহাসড়ক যানজটমুক্ত রাখতে আট শতাধিক পুলিশ ও ১৯০ জন আনসারসহ দেড় শতাধিক লোকবল দায়িত্ব পালন করছে। এছাড়াও মহাসড়কে চলাচলকারী যাত্রীরা যাতে ছিনতাই, রাহাজানী ও অজ্ঞানপাটি খপ্পড়ে পড়তে না পারে তার জন্য গোয়েন্দা তৎপরতা বৃদ্ধি করা হয়েছে বলে টাঙ্গাইলের পুলিশ সুপার সঞ্জিত কুমার রায় জানিয়েছেন।
Leave a Reply