নিজস্ব প্রতিবেদক
ফাইল ফটো
এখন থেকে কাউকে গ্রেফতার করতে হলে সংবিধানের ৩২ অনুচ্ছেদ মেনে চলতে হবে।
শুক্রবার আগাম জামিন নিয়ে এক রায়ে এ আদেশ দিয়েছেন প্রধান বিচারপতির নেতৃত্বাধীন আপিল বিভাগের পূর্ণাঙ্গ বেঞ্চ।
সংবিধানের ৩২ অনুচ্ছেদে বলা হয়েছে, জীবন ও ব্যক্তি স্বাধীনতা হতে কাউকে বঞ্চিত করা যাবে না। সেইসাথে রায়ে বলা হয়, হত্যা ও ধর্ষণে সুনির্দিষ্ট অভিযোগ থাকলে কেউ জামিন পাবে না। এছাড়া কাউকে ৮ সপ্তাহের বেশি আগাম জামিন না দিতেও হাইকোর্টকে নির্দেশ দেয়া হয়।
যেকোনো মামলা হওয়ার সঙ্গে সঙ্গেই আগাম জামিনের জন্য হাইকোর্টে আসেন বেশিরভাগ আসামি। রায়ে আগাম জামিনের ক্ষেত্রে তাই নতুন করে ১৬টি নির্দেশনা দেয়া হয়েছে। ১৬টি নীতিমালার মূল হলো ৮ সপ্তাহের বেশি আগাম জামিন দিতে পারবেন না হাইকোর্ট। হত্যা ডাকাতি, ধর্ষণ এসব ক্ষেত্রে সুনির্দিষ্ট অভিযোগ থাকলে কখনোই আগাম জামিন দেয়া যাবে না। সেইসাথে আগাম জামিনের অপব্যবহার করলে তা বাতিল চাইতে পারবে রাষ্ট্রপক্ষ।
যে ১৬টি নীতিমালা:
১. হাইকোর্টকে এফ আই আর সূক্ষভাবে পর্যবেক্ষণ করতে হবে।
২. অভিযোগের গুরুত্ব বিবেচনা করতে হবে।
৩. আগাম জামিন দিলে পলাতক হওয়ার সম্ভাবনা আছে কি না।
৪. চরিত্র আচার আচরণ বিবেচনায় নিতে হবে।
৫. গ্রেপ্তার হওয়া ব্যক্তি অপদস্থ সম্ভাবনা আছে কিনা তা দেখতে হবে।
৬. কেউ যেন ক্ষতিগ্রস্ত না হয় সেটাও খেয়াল রাখতে হবে।
৭. আগামী জামিন ব্যতিক্রম ক্ষমতা এ ক্ষমতা ব্যবহারের ক্ষেত্রে সতর্ক থাকতে হবে।
৮. কোনো সাক্ষীকে ভয় ভীতি দেখাতে না পারে আগাম জামিনের ক্ষেত্রে এমন শর্ত জুড়ে দিতে হবে।
৯. জামিন দেয়ার ক্ষেত্রে অত্যন্ত সতর্কতা অবলম্বন করতে হবে।
১০. হত্যা ও ধর্ষণে সুনির্দিষ্ট অভিযোগ থাকলে কেউ জামিন পাবে না।
১১.আমাদের আইনে এক সময় ৪৯৭ (ক) কিন্তু সেটা বাতিল হয়েছে।
১২. অনির্দিষ্টকালের জন্য আগাম জামিন দেয়া যাবে না। এটা তদন্ত ব্যাঘাত ঘটনায়।
১৩. আগাম জামিনের ক্ষেত্রে তদন্তের বিষয়টি মাথায় রাখতে হবে।
১৪. আগাম জামিনের পর তদন্ত কর্মকর্তাকে সহযোগিতা করতে হবে
১৫. ৮ সপ্তাহের বেশি আগাম জামিন নয়।
১৬. আগাম জামিনের অপব্যবহার করলেই তা বাতিল চাইতে পারবে রাষ্ট্রপক্ষ।
Leave a Reply