ঝালকাঠিপ্রতিনিধি :
ঝালকাঠির কোরবানির হাটগুলো জমে উঠতে শুরু করেছে। এবার বিদেশি গরু আমদানি কম হওয়ায় অনেকটা স্বস্তিতে দেশি গরুর খামারি ও ব্যবসায়ীরা। তবে গরুর দাম বেশি হওয়ায় বিপাকে ক্রেতারা।
ঈদুল আজহা উপলক্ষে ঝালকাঠির ৫০টি বেশি স্থানে বসেছে পশুর হাট। শুক্রবার সবচেয়ে বড় হাট বসেছে ঝালকাঠি শহরের গুরুদম, নলছিটির চায়না মাঠ, কাঁঠালিয়ার বটতলা বাজার, রাজাপুরের বাঘরি মাঠ ঘুরে দেখা গেছে, ৫০ হাজার থেকে পাঁচ লাখ টাকা দামের গরু বেশী বিক্রি হচ্ছে।
ব্যবসায়ীরা জানান, পরিবহন খরচ, সড়কে চাঁদাবাজির কারণে গরুর দাম বেড়েছে। তবে দাম নাগালের মধ্যেই আছে। এবার মাঝারি আকারের গরু কিনতেই সবাই বেশি আগ্রহ দেখাচ্ছেন।
ক্রেতারা জানান, বিদেশি গরু আমদানি কম হওয়ায় দেশি গরুর চাহিদা বেশি। তাই সুযোগ পেয়ে ব্যবসায়ীরাও দাম বাড়িয়ে দিয়েছেন। তবে হাটের শেষ পর্যায়ে গরুর দাম কমবে।
জেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা মোহাম্মদ সাহেব আলী বলেন, ঝালকাঠিতে এ বছর ৫৫ হাজার গরুর চাহিদা রয়েছে। হাটগুলোতে অসুস্থ পশু বিক্রি বন্ধে প্রাণিসম্পদ বিভাগের নজরদারি রয়েছে। ওষুধ-কেমিক্যাল দিয়ে পশু মোটাতাজা করার বিষয়টিও নজরে রয়েছে।
ঝালকাঠির এসপি ফাতিহা ইয়াসমিন বলেন, কোরবানির হাটে ক্রেতা-ব্যবসায়ীদের নিরাপত্তা ও জাল টাকার লেনদেন রোধে সব ধরনের ব্যবস্থা নেয়া হয়েছে। প্রতিটি হাটে পুলিশের মোবাইল টিম কাজ করছে। এছাড়া সাদা পোশাকেও নজরদারি অব্যাহত রেখেছে গোয়েন্দা পুলিশ।
Leave a Reply