কুমিল্লা প্রতিনিধি :
ঈদযাত্রায় ভোগান্তির আরেক নাম ছিল ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়ক। যানজটের কারণে এক সময় এ মহাসড়কের যাত্রীদের চরম দুর্ভোগ পোহাতে হতো। সেসব এখন অতীত। স্বস্তি ফিরেছে দেশের অন্যতম প্রধান এ মহাসড়কে।
মেঘনা ও মেঘনা-গোমতী দ্বিতীয় সেতু চালু হওয়ায় ঈদুল ফিতরের পর ঈদুল আজহাতেও ঘরে ফেরা হচ্ছে ভোগান্তিহীন। এতে স্বস্তির হাসি দেখা গেছে চালক-যাত্রীদের মুখে। শুক্রবার ও শনিবার সাপ্তাহিক ছুটি হওয়ায় ঈদের ছুটি শুরুর আগেই বাড়ি ফিরছে কর্মব্যস্ত মানুষ। শনিবার ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের কুমিল্লা অংশের ১০৪ কিলোমিটার সড়কের কোথাও চোখে পোড়েনি। ছিল না যানবাহনের ধীরগতি কিংবা বাড়তি চাপ। কুমিল্লার শাসনগাছা, জাঙ্গালিয়া ও পদুয়ার বাজার বিশ্বরোডে চালক-যাত্রীদের সংখ্যে কথা বলে জানা গেছে, সবগুলো বাসই দুই থেকে আড়াই ঘণ্টার মধ্যে ঢাকা থেকে কুমিল্লা পৌঁছেছে। আগে এ পর্যন্ত আসতে ৭-৮ ঘণ্টা লাগতো। কোনো ভোগান্তি ছাড়া বাড়ি ফিরতে পেরে স্বস্তির নিশ্বাস ফেলেছে সবাই।
এশিয়া ট্রান্সপোর্টের চালক করিম আব্বাসী বলেন, দ্বিতীয় মেঘনা ও দ্বিতীয় গোমতী সেতু চালু হওয়ার পর থেকে ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কে যানজট পাওয়া যায়নি। তবে সেতুর ওপর উঠতে গিয়ে কিছু ভারী যানবাহন বিকল হয়ে পড়ায় গতি কিছুটা কমেতে হচ্ছে। এছাড়া কোনো সমস্যা হয়নি।
চাঁদপুরগামী হিমাচল পরিবহনের চালক আবুল বাসার বলেন, বর্তমান পরিবেশ বজায় থাকলে ঈদের আগের দিনও যাত্রীরা ঝামেলা ছাড়া বাড়ি ফিরতে পারবেন।
দাউদকান্দি হাইওয়ে থানার ওসি সরকার আবদুল্লাহ আল মামুন বলেন, মেঘনা সেতুর দুই পাশে গাড়ির গতি স্বাভাবিক রাখতে আমরা কাজ করছি।
কুমিল্লা হাইওয়ে পুলিশের এসপি নজরুল ইসলাম বলেন, ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের কুমিল্লা অংশে কোনো যানজট নেই। সড়কের মোড়ে মোড়ে ট্রাফিক পুলিশ রয়েছে। নিয়মের বাইরে গিয়ে কোনো পরিবহন যাত্রী ওঠা-নামা করছে না। যানবাহনগুলোকে কখনো কখনো গতি কমাতে হলেও কোনো যানজট সৃষ্টি হচ্ছে না। এ মহাসড়কের যাত্রীরা নিরাপদে গন্তব্যে ফিরতে পারছেন।
Leave a Reply