জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদক : প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা জাতির পিতা হারানোর শোককে শক্তিতে পরিণত করে তার সংগ্রামী জীবনাদর্শ ধারণ করে ক্ষুধা ও দারিদ্র্যমুক্ত এবং অসাম্প্রদায়িক একটি সমৃদ্ধ বাংলাদেশ গড়ে তোলার আহ্বান জানিয়েছেন।
তিনি বলেছেন, ‘ঘাতকচক্র বঙ্গবন্ধুকে হত্যা করলেও তাঁর স্বপ্ন ও আদর্শের মৃত্যু ঘটাতে পারেনি। আসুন, আমরা জাতির পিতা হারানোর শোককে শক্তিতে পরিণত করি।’
১৫ আগস্ট জাতীয় শোক দিবস উপলক্ষে বুধবার গণমাধ্যমে দেয়া এক বাণীতে প্রধানমন্ত্রী একথা বলেন।
প্রধানমন্ত্রী মহান আল্লাহর দরবারে ১৫ আগস্টের সকল শহীদের রুহের মাগফেরাত কামনা করে বলেন, ‘জাতির পিতার দূরদর্শী, সাহসী এবং বলিষ্ঠ নেতৃত্বে বাঙালি জাতি পরাধীনতার শৃঙ্খল ভেঙে এনেছে স্বাধীনতার রক্তিম সূর্য। বাঙালি পেয়েছে স্বাধীন সার্বভৌম রাষ্ট্র, নিজস্ব পতাকা ও জাতীয় সংগীত।’
প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘সদ্য স্বাধীন যুদ্ধবিধ্বস্ত দেশে বঙ্গবন্ধু যখন সমগ্র জাতিকে নিয়ে সোনার বাংলা গড়ার সংগ্রামে নিয়োজিত, তখনই স্বাধীনতাবিরোধী-যুদ্ধাপরাধী চক্র তাকে হত্যা করে। এই হত্যার মধ্য দিয়ে তারা বাঙালির ঐতিহ্য, সংস্কৃতি ও অগ্রযাত্রাকে স্তব্ধ করার অপপ্রয়াস চালায়। ঘাতকদের উদ্দেশ্যই ছিল অসাম্প্রদায়িক গণতান্ত্রিক বাংলাদেশের রাষ্ট্রকাঠামোকে ভেঙে আমাদের কষ্টার্জিত স্বাধীনতাকে ভূলুণ্ঠিত করা।’
তিনি বলেন, ‘এই হত্যাকাণ্ডের সঙ্গে জড়িত স্বাধীনতাবিরোধী চক্র ’৭৫ এর ১৫ আগস্টের পর থেকেই হত্যা, ক্যু ও ষড়যন্ত্রের রাজনীতি শুরু করে। তারা ইনডেমনিটি অর্ডি্ন্যান্স জারি করে বঙ্গবন্ধু হত্যার বিচারের পথও বন্ধ করে দেয়। আমরা জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান হত্যার বিচার শুরু করি।’
‘আমরা সপরিবারে জাতির পিতা হত্যার বিচারের রায় কার্যকর করেছি। জাতীয় চার নেতা হত্যার বিচার সম্পন্ন হয়েছে। একাত্তরের মানবতাবিরোধী-যুদ্ধাপরাধীদের বিচারের রায় কার্যকর করা হচ্ছে। জঙ্গিবাদ-সন্ত্রাসবাদ নির্মূলে আমাদের সরকার ‘জিরো টলারেন্স’ নীতি অনুসরণ করছে। সংবিধানে পঞ্চদশ সংশোধনীর মাধ্যমে অসাংবিধানিকভাবে ক্ষমতা দখলের সুযোগ বন্ধ হয়েছে।’
তিনি স্বাধীনতাবিরোধী সাম্প্রদায়িক গোষ্ঠী এবং উন্নয়ন ও গণতন্ত্র বিরোধী চক্রের যে কোনো অপতৎপরতা ঐক্যবদ্ধভাবে মোকাবিলা করার জন্য সবাইকে প্রস্তুত খাকার কথা বলেন।
Leave a Reply