ঝালকাঠি প্রতিনিধি:
ঝালকাঠির তেরআনা শাহমাহমুদিয়া আলিম মাদরাসা সুপারের বিরুদ্ধে ৮ম শ্রেণির এক ছাত্রীকে ধর্ষণের অভিযোগে মামলা দায়ের করা হয়েছে।
মাদরাসা সুপার কামাল উদ্দিনের বাসায় কাজের বিনিময়ে থাকতেন ওই ছাত্রী। এদিকে কিশোরীকে ধর্ষণের পর কামাল উদ্দিনের ভাইয়ের ঘরে তালা দিয়ে আটকে রাখা হয় বলেও অভিযোগ উঠেছে। শনিবার রাতে পুলিশ সেই ঘর থেকে ছাত্রীটিকে উদ্ধার করে। পুলিশ সুপার ফাতিহা ইয়াসমিন ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন। কামাল উদ্দিন, তার স্ত্রী ও ৫ সন্তানসহ পলাতক। এলাকাবাসী জানায়, শুক্রবার দুপুরে কামাল উদ্দিন নিজ বাড়িতে ওই ছাত্রীকে ধর্ষণ করেন। এ সময় তার স্ত্রী দেখে ফেলে ডাকচিৎকার দেয় ও স্বামী কামিল উদ্দিনসহ ধর্ষিতা কিশোরীকে জুতাপেটা করলে ঘটনাটি এলাকায় জানাজানি হয়। অবস্থা বেগতিক দেখে ধর্ষক কামাল উদ্দিন স্ত্রী-সন্তানদের নিয়ে গা ঢাকা দেয়। রিদ্র মেয়েটি নিজ বাসায় আশ্রয় দেয়ার সুবাধে দীর্ঘদিন ধরে কামাল উদ্দিন স্ত্রীর চোখ ফাঁকি দিয়ে জোর পূর্বক ধর্ষণ করে আসছিলো বলে এলাকাবাসী জানায়। ওসি তদন্ত শোনিত কুমার গাইন বলেন, মাতৃহীন দরিদ্র পিতার সন্তান মেয়েটিকে ৪/৫ বছর পূর্বে কামাল উদ্দিনের বাসায় এনে রাখে। এখানে কয়েক বছর ধরে কামাল উদ্দিন তাকে যৌন নির্যাতন করে আসছে। এ বিষয় নারী নির্যাতনের মামলা রের্কড হয়েছে। আসামীকে গ্রেফতারের চেষ্টা চলছে।
সদর উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা হারুন অর রশিদ বলেন, কামাল উদ্দিন খন্দকারের বিরুদ্ধে মাদরাসা তহবিল তশরুপসহ নানা অনিয়ম ও দুর্নীতির অভিযোগ রয়েছে। এসব অভিযোগে বিষয়ে সংশ্লিষ্ট উর্ধতন কর্তৃপক্ষকে জানানো হয়েছে এবং এবিষয়ে তদন্ত চলছে। কামাল উদ্দিনের মোবাইল ফোনে কয়েক বার ফোন করলেও তার ফোন বন্ধ পাওয়া যায়। এদিকে নিজ ছাত্রীকে ধর্ষণের ঘটনায় এলাকায় ক্ষোভ বিরাজ করছে।
Leave a Reply