ভালুকা প্রতিনিধি:
ময়মনসিংহের ভালুকা উপজেলায় প্রশাসনের হস্তক্ষেপে দুটি বাল্যবিয়ে বন্ধ করা হয়েছে। শুক্রবার দিবগাত রাতে সাড়ে ১২টার দিকে বিরুনীয়া ও মেদুয়ারী ইউনিয়নের অভিভাবদের কাছ থেকে পৃথক দুটি চুক্তিনামা করা হয়। নীয় সূত্রে জানা যায়, ভালুকা উপজেলার বিরুনীয়া ইউনিয়নের গ্রামে রাত ৯ টার দিকে বিয়ের আয়োজন চলছিল। কনে স্থানীয় একটি দাখিল মাদ্রাসার দশম শ্রেণির ছাত্রী। দাখিল পরীক্ষার রেজিস্টেশনে উল্লেখ জন্ম তারিখ অনুযায়ী তার বয়স হয়েছে ১৭ বছর ছয় মাস হয়। বর পাশের গোয়ারী গ্রামের আবুল হোসেনের ছেলে সোহেল।
গোপন তথ্যের ভিত্তিতে বিয়ে বাড়িতে উপস্থিত হন ভালুকা উপজেলার সহকারী কমিশনার (ভূমি) ও নির্বাহী হাকিম রোমেন শর্মা। সঙ্গে ছিলেন আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্যরা। তাদের উপস্থিতি টের পেয়ে বর যাত্রী পালিয়ে যান। কনে অপ্রাপ্তবয়স্ক হওয়ায় বিয়ের আয়োজন বন্ধ করে দেওয়া হয়।
কনের মাসহ এলাকার কয়েকজন গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গ কাছ থেকে মেয়ের বয়স ১৮ বছর না হওয়ার পর্যন্ত বিয়ে দেবেন না বলে চুক্তিনামা করা হয়। অপর দিকে রাত সাড়ে ১১ টার দিকে ভালুকা উপজেলার মেদুয়ারী ইউনিয়নের বগাজান গ্রামে বিয়ের আয়োজন চলছিল। কনে স্থানীয় একটি বিদ্যালয়ে সপ্তম শ্রেণি পর্যন্ত পড়া-লেখা করেছে। এরপর এক বছর ধরে পড়াশুনা বন্ধ করে বাড়িতেই থাকে। পরিবারের দেওয়া তথ্য, অনুযায়ী কনের বয়স হয়েছে ১৫ বছর। বর ভালুকা উপজেলার গোয়ারী গ্রামের আব্দুসের ছেলে সোহেল।
গোপন তথ্যের ভিত্তিতে এই বিষয়টি জানার পর বিয়ে বাড়িতে পুলিশ পাঠান ভালুকা উপজেলার সহকারী কমিশনার (ভূমি) ও নির্বাহী হাকিম রোমেন শর্মা। পরে কনে অপ্রাপ্তবয়স্ক হওয়ায় বিয়ের আয়োজন বন্ধ করে দিয়েছেন। পর কনের চাচাসহ এলাকার কয়েকজন গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গ কাছ থেকে মেয়ের বয়স ১৮ বছর না হওয়ার পর্যন্ত বিয়ে দেবেন না বলে চুক্তিনামা করা হয়।
ভালুকা উপজেলার সহকারী কমিশনার (ভূমি) ও নির্বাহী হাকিম রেমেন শর্মা বলেন, বাল্যবিয়ে একটি অপরাধ। পরিবার, বিশেষ করে মা-বাবা এ বিষয়ে সচেতন হলে বাল্যবিয়ে পুরোপুরি বন্ধ করা যাবে বলে উল্লেখ করেন তিনি। এ জন্য তিনি সবার সহযোগিতা ও কামনা করেন।
Leave a Reply