জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদক :
সম্রাটসহ ১৪ নেতার বিরুদ্ধে দেশত্যাগে নিষেধাজ্ঞা জারি করেছে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী।
তাদের নানা তথ্য এবং সম্ভাব্য ছবি দিয়ে ইমিগ্রেশন এবং দেশের বিভিন্ন সীমান্ত এলাকায় সতর্ক করা হয়েছে।
সব শেষ খবর পাওয়া পর্যন্ত সম্রাট কোথায় আছেন তা নিশ্চিত করতে পারেনি আইনশৃঙ্খলা বাহিনী।
এ বিষয়ে মঙ্গলবার দুপুরে পুলিশ সদর দপ্তরের এআইজি মিডিয়া সোহেল রানার দৃষ্টি আকর্ষণ করা হলে তিনি বলেন, ‘যাদের বিরুদ্ধে ক্যাসিনো ব্যবসার সঙ্গে সুনির্দিষ্ট তথ্যপ্রমাণ মিলবে তাদেরকে আইনের আওতায় আনা হবে। সে যত বড় প্রভাবশালী হোক না কেন কোনোভাবেই ছাড় দেওয়া হবে না।’
সূত্র বলছে, ক্যাসিনো বিরোধী অভিযানের পর থেকেই সম্রাটের বিরুদ্ধে অভিযোগ আসতে থাকে। তার অধীনেই ক্লাবপাড়ার সব ক্যাসিনো ব্যবসা পরিচালিত হতো। কিন্তু অভিযানের পর থেকেই তিনি আত্মগোপনে চলে যান।
তবে অপর একটি সূত্র বলছে সম্রাট আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর নজরদারিতে আছেন। তার গতিবিধি নজরদারি করা হচ্ছে। তার ব্যাপারে তদন্ত হচ্ছে। তদন্ত পেলে অবশ্যই তাকে আইনের আওতায় আনা হবে।
এদিকে পুলিশ সদরদপ্তরের আদেশ দেশের বিভিন্ন বিমান ও স্থলবন্দরে দায়িত্বরত ইমিগ্রেশন পুলিশের কাছে পাঠানো হয়েছে। চলতি সপ্তাহের প্রথম দিকে এ আদেশ দেওয়া হয়।
গোয়েন্দা সূত্র বলছে, ক্যাসিনো বিরোধী অভিযানের পর র্যাব, পুলিশ ও সরকারের বিভিন্ন গোয়েন্দা সংস্থা তদন্তে নামে। তদন্তে নেমে তারা নিশ্চিত হয় ইসমাইল চৌধুরী সম্রাট, খালেদ মাহমুদ, কাউন্সিলর আবু সাঈদসহ যুবলীগের থানা ও ওয়ার্ড পর্যায়ের লোকজন এ ব্যাবসার সাথে সরাসরি জড়িত। মোট ১২৮ জনের নাম পাওয়া গেছে যারা সবকিছু নিয়ন্ত্রণ করত। যারা ১৪ জনের আদেশ-নির্দেশের ভিত্তিতে ব্যবসা পরিচালনা করতো।
গোন্দেয়া সংস্থা তাদের ব্যাপারে আরো তথ্য প্রমাণ সংগ্রহের কাজ করছে। পুরোপুরি নিশ্চিত হয়ে একে একে সবাইকে আইনের আওতায় আনা হবে। আর যে ১৪ জনের ওপর নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয়েছে তাদের অনেকেই বিদেশ পালিয়ে গেছেন। কেউ কেউ আত্মগোপনে আছেন। তারা ক্যাসিনোর ব্যবসার আড়ালে বিপুল পরিমাণ টাকা বিদেশ পাচারই নয়, অনেক সম্পত্তি করেছেন।
Leave a Reply