নড়াইল প্রতিনিধি :
সনাতন ধর্মাবলম্বীদের প্রধান এ উৎসব ঘিরে ব্যস্ততা বেড়েছে নড়াইলের মৃৎশিল্পীদের। সকাল থেকে রাত পর্যন্ত প্রতিমা তৈরিতে ব্যস্ত সময় পার করছেন তারা। সম্প্রীতি ও শৃঙ্খলা বজায় রেখে পূজা উদযাপনে প্রস্তুত জেলা প্রশাসনও।
জেলা পূজা উদযাপন কমিটির তথ্য অনুযায়ী, নড়াইলে এ বছর ৫৭২টি মণ্ডপে দুর্গাপূজা হবে। অধিকাংশ মণ্ডপের প্রতিমা তৈরি প্রায় শেষ। অপেক্ষা শুধু তুলির আঁচড়ের। পূজার আগেই প্রতিমা প্রস্তুত করতে চান মৃৎশিল্পীরা। মৃৎশিল্পী বাবু বিশ্বাস বলেন, মাটির কাজ শেষ করেছি। এখন রঙের কাজ চলছে। সময় বাঁচাতে স্প্রে মেশিন ব্যবহার করছি। এতে রঙের ফিনিশিং ভালো হয়। আরেক মৃৎশিল্পী চিত্তরঞ্জন পাল বলেন, বছরের বেশিরভাগ সময় আমাদের কাজ না থাকলেও পূজা এলেই ব্যস্ততা বাড়ে। প্রতিমা তৈরি করেই আমাদের সারা বছরের খরচ তুলতে হয়। এ কারণে আকারভেদে প্রতিটি প্রতিমা ৩৩-৫০ হাজার টাকায় বিক্রি করি।
জেলা পূজা উদযাপন কমিটির সভাপতি অশোক কুন্ডু জানান, নড়াইলে ধর্মীয় সম্প্রীতি ও সুশৃঙ্খলভাবে দুর্গাপূজা আয়োজনে সব ধরনের পদক্ষেপ নেয়া হয়েছে।
নড়াইলের এসপি মোহাম্মদ জসিম উদ্দিন বলেন, দুর্গাপূজায় নিরাপত্তা ও শৃঙ্খলা বজায় রাখতে পর্যাপ্ত ব্যবস্থা নেয়া হয়েছে। বিভিন্ন মণ্ডপে সিসি ক্যামেরা লাগানো হয়েছে। দুর্ঘটনা এড়াতে মণ্ডপগুলোতে আতশবাজি নিষিদ্ধ করা হয়েছে।
নড়াইলের এডিসি (সার্বিক) মো. ইয়ারুল ইসলাম বলেন, জেলার প্রতিটি পূজামণ্ডপে পাঁচশ কেজি করে চাল বরাদ্দ দেয়া হয়েছে। শিগগিরই পূজা উদযাপন কমিটির কাছে চাল বিতরণ করা হবে।
Leave a Reply