আন্তর্জাতিক ডেস্ক :
রাজনৈতিক প্রতিদ্বন্দ্বীর ক্ষতি করতে বিদেশি সরকারের কাছে সাহায্য চাওয়ার অভিযোগ তুলে মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের বিরুদ্ধে আনুষ্ঠানিক তদন্ত শুরু করেছে প্রতিনিধি পরিষদের ডেমোক্রেটরা। অভিযোগ প্রমাণিত হলে অভিশংসনের মুখে পড়তে পারেন ট্রাম্প।মঙ্গলবার দলের সদস্যদের সঙ্গে বৈঠকের পর ডেমোক্রেট নিয়ন্ত্রিত প্রতিনিধি পরিষদের স্পিকার ন্যান্সি পেলোসি এ সিদ্ধান্তের কথা জানিয়েছেন।টেলিভিশনে দেওয়া বিবৃতিতে পেলোসি অভিযোগ করেছেন, ২০২০ সালের নির্বাচনকে সামনে রেখে ডেমোক্রেট প্রার্থী জো বাইডেনকে চাপে ফেলতে ইউক্রেনের সহযোগিতা চেয়েছেন প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প। প্রেসিডেন্টের এই আচরণ তার ‘দপ্তরের শপথের সঙ্গে বিশ্বাসঘাতকতা, আমাদের জাতীয় নিরাপত্তার সঙ্গে শ্বাসঘাতকতা এবং আমাদের নির্বাচনের মর্যাদার সঙ্গে বিশ্বাসঘাতকতা’ বলেও মন্তব্য করেছেন পেলোসি।ৎক্ষনিকভাবে টুইটারে ট্রাম্প এই সিদ্ধান্তে ক্ষুব্ধ প্রতিক্রিয়া ব্যক্ত করেছেন। তিনি এই তদন্তকে ‘ডাইনি শিকারের আবর্জনা’ বলে মন্তব্য করেছেন।সম্প্রতি মার্কিন সংবাদমাধ্যমগুলো জানায়, ২৫ জুলাই ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কিকে টেলিফোনে ডোনাল্ড ট্রাম্প প্রাক্তন মার্কিন ভাইস প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন ও তার ছেলে হান্টারের বিরুদ্ধে দুর্নীতির ভিযোগ তদন্তের জন্য চাপ দিয়েছিলেন। হান্টার ইউক্রেনে গ্যাস কূপ খননের জন্য একটি প্রতিষ্ঠানের হয়ে কাজ করতেন। ট্রাম্প তদন্ত না করলে ইউক্রেনে সামরিক সাহায্য বন্ধ করে দেওয়ার হুমকি দিয়েছিলেন।ট্রাম্প অবশ্য জেলেনস্কির সাথে জো বাইডেনের বিষয়ে আলোচনা করার বিষয়টি স্বীকার করেছেন। তবে তিনি সামরিক সহায়তা বন্ধ করার হুমকির কথা অস্বীকার করেছেন।
Leave a Reply