নিজস্ব প্রতিবেদক:
রংপুর-৩ (সদর) আসনের উপনির্বাচনে সাদ এরশাদ ও তার চাচাত ভাই আসিফ শাহরিয়ার দুই জনই নির্বাচনী তরী পার হতে সরকারে প্রশংসায় পঞ্চমুখ। তারা প্রচারণায় সরকারের উন্নয়ন কর্মকাণ্ড তুলে ধরে নিজেদের পক্ষে ভোট চাইছেন।সাদ এরশাদ একধাপ এগিয়ে বলছেন, তিনি নির্বাচিত হলে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের সোনার বাংলা গড়ার স্বপ্ন বাস্তবায়নে কাজ করবেন।সরকারের প্রশংসা করলেও তারা কেউই আওয়ামী লীগের রাজনীতির সঙ্গে যুক্ত নন। সাদ এরশাদ জাতীয় পার্টির মনোনীত প্রার্থী। আর স্বতন্ত্র প্রার্থী আসিফ শাহরিয়ার।এদিকে, আচরণবিধি লঙ্ঘনের অভিযোগ উঠায় জাতীয় পার্টির প্রার্থী সাদ এরশাদের নির্বাচনী পোস্টার থেকে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা, প্রয়াত জাপা চেয়ারম্যান এরশাদসহ তিন নেতার ছবি অপসারণের নির্দেশ দিয়েছেন রিটার্নিং অফিসার। পাশাপাশি প্রচারণার সময় মোটরসাইকেল ও গাড়ির বহর নিয়ে শোডাউন না করার জন্য নির্দেশ দেয়া হয়েছে।অপরদিকে, বিএনপির প্রার্থী রিটা রহমান বলছেন, ভোট গ্রহণে ইভিএম প্রদ্ধতিতে তাদের আস্থা নেই। সরকারের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ করার জন্য তারা এই নির্বাচনে অংশ নিয়েছেন্।নির্বাচনী প্রচারণায় নতুন বাংলাদেশ গড়ার কাজে প্রবীণদের পরামর্শে তরুণদের সঙ্গে নিয়ে কাজ করার কথাও বলছেন সাদ এরশাদ।সাদ এরশাদের প্রতিদ্বন্দ্বী আসিফ শাহরিয়ারও বর্তমান সরকারের উন্নয়ন ও দুর্নীতিবিরোধী অভিযানকে স্বাগত জানিয়ে ভোট চাইছেন। তিনি বলেন, সরকারের উন্নয়নের ধারা দেশে-বিদেশে প্রশংসিত হয়েছে। এই ধারা অব্যাহত রাখতে পারলে দেশ আরো এগিয়ে যাবে।বিএনপির কেন্দ্রীয় কমিটির সাংগঠনিক সম্পাদক আসাদুল হাবিব দুলু রংপুরে ধানের শীষের পক্ষে প্রচারে বলেছেন, সরকার প্রহসনের নির্বাচন করছে। ইভিএম দিয়ে ভোট চুরির গ্রাউন্ড ওয়ার্ক করছে। ইভিএম-এ তাদের ন্যূনতম আস্থা নেই। তবে সরকারের ভোট চুরির সিস্টেমের প্রতিবাদ এবং জনগণকে তা দেখিয়ে দেয়ার জন্যই তারা উপনির্বাচনে অংশ নিচ্ছেন।মহাজোট প্রার্থী আচরণবিধি লঙ্ঘনের সকল সীমা ছড়িয়ে গেলেও নির্বাচন কমিশন চুপচাপ রয়েছে বলে তিনি অভিযোগ করেছেন।গত ১৪ জুলাই রংপুর-৩ আসনের এমপি জাপা চেয়ারম্যান হুসেইন মুহম্মদ এরশাদের মৃত্যুর পর ১৬ জুলাই আসন শূন্য ঘোষণা করে নির্বাচন কমিশন। আগামী ৫ অক্টোবর এই আসনে ভোটগ্রহণ করা হবে। এতে মোট ৬ জন প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন।
রংপুর সদর উপজেলা এবং রংপুর সিটি করপোরেশনের ৯ থেকে ৩৩ নম্বর এলাকা নিয়ে গঠিত রংপুর-৩ আসনে ভোটার সংখ্যা ৪ লাখ ৪১ হাজার ৬৭৩ জন।
Leave a Reply