শ্রীলংকার দেওয়া ১৩৬ রানের সহজ লক্ষ্য তাড়া করতে নেমে দুই ওপেনারের দৃঢ়তায় খুব সহজেই ম্যাচ জিতে নেয় কিউইরা ।
লংকানদের দেওয়া মামুলি টার্গেট কোন উইকেট না হারিয়ে ১৬.১ ওভারেই পেড়িয়ে যায় নিউজিল্যান্ড। দুই ওপেনার গাপটিল ও মুনরো যথাক্রমে ৭৩ ও ৫৮ রানে অপরাজিত থেকে ম্যাচ শেষ করেন। শ্রীলংকার কোন বোলারই ম্যাচে প্রভাব সৃষ্টি করতে পারেননি।
এর আগে টস জিতে ফিল্ডিংয়ের সিদ্ধান্ত নেন কিউই ক্যাপ্টেন কেন উইলিয়ামসন। ম্যাট হেনরি ও লকি ফার্গুসনের বোলিংয়ের তোপে পড়ে মাত্র ১৩৫ রানেই গুটিয়ে যায় লংকানরা।
ইনিংসের প্রথম বলেই চার মারেন থিরিমান্নে। কিন্তু এরপরের বলেই আউট হয়ে যান তিনি। হেনরির বলে এলবিডব্লিউর ফাঁদে পড়ে আউট হন থিরিমান্নে।
এরপর করুনারত্নে ও কুশাল পেরেরা দলের হাল ধরার চেষ্টা করেন। দুজনের ৪২ রানের জুটি ভাংগেন ম্যাট হেনরি। কুশল পেরেরা কে ২৯ রানে ফেরানোর পরের বলেই কুশল মেন্ডিসকে ফিরিয়ে হ্যাটট্রিকের সম্ভাবনাও জাগিয়েছিলেন এই কিউই পেসার।
লংকান শিবিরে ৪র্থ উইকেট তুলে নেন আরেক গতিদানব লকি ফার্গুসন। ধনঞ্জয় ডি সিলভাকে ৪ রানে ফিরিয়ে দেন তিনি। রানের খাতা খোলার আগেই গ্রান্ডহোমের বলে উইকেটের পিছে ক্যাচ দিয়ে ফিরে যান এঞ্জেলো ম্যাথিউস। জীবন মেন্ডিসও টিকতে পারেননি বেশিক্ষণ। ফার্গুসনের বলে দলীয় ৬০ রানে আউট হন তিনি।
একপ্রান্ত আগলে রাখা অধিনায়ক করুনারত্নের সঙ্গে থিসারা পেরেরা বিপর্যয় সামাল দেওয়ার চেষ্টা করেন। তবে পেরেরাকে আউট করে দুজনের ৫২ রানের জুটি ভেঙ্গে দেন মিচেল স্যান্টনার। বোল্টের ক্যাচে পরিণত হওয়ার আগে ২৩ বলে ২৭ রান আসে তার ব্যাট থেকে।
এরপর লংকান ইনিংস গুটিয়ে ফেলতে বেশি সময় নেননি কিউই বোলাররা। উদানাকে নিশাম, লাকমালকে বোল্ট এবং মালিংগাকে ফার্গুসন আউট করার মাধ্যমে শেষ হয় শ্রীলংকার ইনিংস।
একমাত্র লংকান ক্যাপটেন ছিলেন ব্যাতিক্রম। ডুবতে থাকা তরীর এক প্রান্ত আগলে রাখা অধিনায়ক করুনারত্নে অপরাজিত থাকেন ৫২ রানে।
এই জয়ের মাধ্যমে টুর্নামেন্টে শুভ সূচনা করলো নিউজিল্যান্ড। কিউইদের পরবর্তী ম্যাচ ৫ জুন বাংলাদেশের বিপক্ষে।
স্কোরকার্ড
শ্রীলংকা ১৩৬/১০
করুনারত্নে: ৫২*
হেনরি ও ফার্গুসন: ৩ উইকেট
নিউজিল্যান্ড ১৩৭/০
গাপটিল ৭৩*
মুনরো ৫৮*
Leave a Reply