যুগ-যুগান্তর ডেস্ক :
বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্সের পাইলট ফজল মাহমুদের পাসপোর্ট ছাড়া প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে আনতে কাতারে যাওয়ার ঘটনায় একটি আন্তঃমন্ত্রণালয় তদন্ত কমিটি গঠন করেছে সরকার।
শুক্রবার মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের অতিরিক্ত সচিব নাসিমা বেগমকে আহ্বায়ক করে ৪ সদস্যের এ কমিটি গঠন করা হয়। কমিটিকে আগামী তিন কর্ম দিবসের মধ্যে প্রতিবেদন জমা দিতে বলা হয়েছে।

কমিটির সদস্য সচিব করা হয়েছে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের জননিরাপত্তা বিভাগের (রাজনৈতিক-১) যুগ্মসচিব মো. জাহাঙ্গার আলম। কমিটির অন্য সদস্যরা হলেন- স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সুরক্ষা সেবা বিভাগের যুগ্মসচিব (রাজনৈতিক-৪) মো. হেলাল মাহমুদ শরীফ ও বেসামরিক বিমান পরিবহন ও পর্যটন মন্ত্রণালয়ের যুগ্মসচিব মুস্তাকিম বিল্লাহ ফারুকী।

কমিটিকে ক্যাপ্টেন ফজল মাহমুদ চৌধুরীর পাসপোর্টবিহীন দোহা ভ্রমণের কারণ অনুসন্ধান, হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমান বন্দরের দায়িত্ব অবহেলার বিষয়ে দায়-দায়িত্ব নিরূপণ ও বহিরাগমন ও পাসপোর্ট অধিদফতরের কার্যপদ্ধতির ত্রুটি নিরূপণ করার নির্দেশ দেয়া হয়েছে।

এর আগে, বুধবার (৫ জুন) রাতে কাতারের রাজধানীর দোহা আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে পৌঁছান ক্যাপ্টেন ফজল মাহমুদ। সঙ্গে পাসপোর্ট না থাকায় বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্সের ক্যাপ্টেন ফজল মাহমুদকে আটকে দেয় কাতার ইমিগ্রেশন। তবে পাসপোর্ট না নিয়েই তিনি কিভাবে দেশের বিমানবন্দরের ইমিগ্রেশন পার হয়েছেন, তা নিয়ে দেখা দিয়েছে প্রশ্ন।

বেসামরিক বিমান পরিবহন ও পর্যটন মন্ত্রণালয়ের সচিব মুহিবুল হক বলেন, পাইলট ভুল করে পাসপোর্ট সঙ্গে নেননি। পাসপোর্ট ছাড়া তিনি কিভাবে ইমিগ্রেশন ক্রস করলেন, তা তদন্ত করে দেখা হবে। রিজেন্ট এয়ারওয়েজের একটি ফ্লাইটে করে ক্যাপ্টেন ফজল মাহমুদের পাসপোর্ট কাতারে পাঠানো হয়েছে বলেও জানান তিনি।

জানা গেছে, বিদেশ সফররত প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে দেশে ফিরিয়ে আনতে বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্সের বোয়িং ৭৮৭ উড়োজাহাজ নিয়ে কাতার যান ক্যাপ্টেন ফজল মাহমুদ। প্রধানমন্ত্রী ফিনল্যান্ড থেকে ফেরার পথে কাতারে ট্রানজিট নেবেন। সেখান থেকে বিমানের ওই বোয়িং ৭৮৭ উড়োজাহাজে চড়ে ফিরবেন তিনি।