চাঁদপুর প্রতিনিধি :
পবিত্র ঈদুল ফিতরের পাঁচ দিন পরও চাঁদপুর লঞ্চ ঘাটে ঢাকাগামী যাত্রীদের উপচেপড়া ভিড় রয়েছে। প্রতিটি লঞ্চে ধারণ ক্ষমতার চেয়ে তিন গুণ যাত্রী নেয়া হচ্ছে। এতে বড় দুর্ঘটনার শঙ্কা রয়েছে।
সোমবার সকাল থেকে বিকাল পর্যন্ত প্রতিটি লঞ্চে আড়াই হাজার থেকে তিন হাজার যাত্রী নিয়ে ঘাট থেকে লঞ্চ ছাড়ছে।
চাঁদপুর কোস্টগার্ডের কর্মকর্তা মো. মাইনুল ইসলাম বলেন, রোববার রাত ১২টা ১৫ মিনিটের লঞ্চ এমভি ময়ুর-৭ তিন গুণ বেশি যাত্রী নিয়ে রাত ১১টায় নৌ-টার্মিনাল ছাড়ে।
চাঁদপুর নৌ-টার্মিনালে কর্মরত একাধিক লঞ্চ সুভার ভাইজার বলেন, সকাল থেকে বিকেল ৫টা পর্যন্ত প্রতিটি লঞ্চ ধারণ ক্ষমতার তিন থেকে চার গুণ যাত্রী নিয়ে চাঁদপুর থেকে ঢাকার উদ্দেশ্যে রওয়ানা হয়েছে।
সোমবার দুপুরে নির্ধারিত সময়ের আগে লঞ্চগুলোর স্বাভাবিক নিয়মানুযায়ী যাত্রী হলেও ছাড়ছে না। নির্দিষ্ট সময়ে প্রায় আড়াই হাজার থেকে তিন হাজার যাত্রী নিয়ে লঞ্চগুলো ঘাট ছাড়ছে। সকাল থেকে এমভি সোনারতরী, এমভি রফ রফ, এমভি ঈগল,এমভি আবে জমজম, এমভি প্রিন্স অব রাসেল,মেঘনা রানী ও বোগদাদিয়া-৭ অতিরিক্ত যাত্রী নিয়ে চাঁদপুর ঘাট ছেড়েছে।
লঞ্চ মালিক প্রতিনিধি রুহুল আমিন বলেন, চাঁদপুর-ঢাকা-চাঁদপুর নৌ-রুটে ভ্রমণে আরামের কারণে যাত্রীর সংখ্যা দিন দিন বাড়ছে। এ রুটে ২২টি বিলাসবহুল লঞ্চ যাতায়াত করে। চাঁদপুর জেলাসহ পাশের জেলা নোয়াখালী, লক্ষ্মীপুর ও শরীয়তপুর জেলার আংশকি মানুষ এ রুটে যাতায়াত করেন। ঈদুল ফিতরের ছুটি শেষে কর্মস্থলে ফিরতে লঞ্চ ব্যবহার করছেন।
লক্ষ্মীপুরের যাত্রী মোহাম্মদ নিয়াজ বলেন, সময়সূচি ও নিয়মানুযায়ী ছাড়া অধিক যাত্রী নিয়ে লঞ্চ ছাড়া হচ্ছে। প্রতি ঘন্টায় লঞ্চ রয়েছে। সে কারণে ইচ্ছে করেই ভীড়ের মধ্যে লঞ্চে উঠছি না।
চাঁদপুর বন্দর ও পরিবহন কর্মকর্তা আব্দুর রাজ্জাক বলেন, চাঁদপুর লঞ্চঘাট থেকে অতিরিক্ত যাত্রী না নিতে আমরা সতর্ক রয়েছি। তবে রোববার থেকে যাত্রীর চাপ বেড়েছে। এ ঘাটে পুলিশ, কোস্টগার্ড, স্কাউট সদস্যসহ আমাদের লোকজন সার্বক্ষণিক কাজ করছে।
লঞ্চ মালিক প্রতিনিধি বিপ্লব সরকার জানান, যাত্রীদের উঠতে নিষেধ করলেও তারা জোর করে লঞ্চে উঠছে। তাই অতিরিক্ত যাত্রী নিয়ে লঞ্চগুলো চাঁদপুর থেকে ছেড়ে যাচ্ছে। যাত্রীর চাপ থাকায় দুটি ম্পেশাল লঞ্চ দেয়া হয়েছে।
চাঁদপুর বন্দর ও পরিবহন কর্মকর্তা আব্দুর রাজ্জাক বলেন, স্বাভাবিকের চাইতে বেশি যাত্রী যাচ্ছে। তবে সহনীয় পর্যায়ে রয়েছে। অতিরিক্ত যাত্রী বহন অপরাধ হলেও লঞ্চ সীমিত থাকায় জরিমানা করা হচ্ছে না।
Leave a Reply