জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদ:
জাতিসংঘের সদস্য দেশসমূহের স্থায়ী প্রতিনিধি ও রাষ্ট্রদূতদের সম্মানে বাংলাদেশ স্থায়ী মিশনের বঙ্গবন্ধু মিলনায়তনে ঈদ পুনর্মিলনী অনুষ্ঠিত হয়েছে। এতে উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশের পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী মো. শাহরিয়ার আলম এমপি ও পররাষ্ট্র সচিব মো. শহীদুল হক।
অনুষ্ঠানটি ভারত, শ্রীলঙ্কা, জাপান, রাশিয়া, চীন, সৌদি আরব, কাতারসহ শতাধিক দেশের স্থায়ী প্রতিনিধি ও বিভিন্ন পর্যায়ের কূটনীতিকদের মিলনমেলায় পরিণত হয়।
বিশাল এই সমাগমে ইন্টারন্যাশনাল অর্গানাইজেশন ফর মাইগ্রেশন (আইওএম) এর ডেপুটি ডাইরেক্টর জেনারেল পদে আসন্ন নির্বাচনে বাংলাদেশের প্রার্থী হিসাবে পররাষ্ট্র সচিব মো. শহীদুল হক-এর প্রার্থিতার বিষয়টি ছিল আলোচনার কেন্দ্রবিন্দু। তাকে সমর্থনের আহ্বান জানিয়ে উপস্থিত কূটনীতিকদের উদ্দেশ্যে স্বাগত বক্তব্য রাখেন জাতিসংঘে নিযুক্ত বাংলাদেশের স্থায়ী প্রতিনিধি রাষ্ট্রদূত মাসুদ বিন মোমেন। বাংলাদেশের যুগান্তকারী উন্নয়ন অগ্রযাত্রার বিভিন্ন দিকও বিদেশী অতিথিদের সামনে তুলে ধরেন স্থায়ী প্রতিনিধি। পাশাপাশি রোহিঙ্গা সঙ্কটের স্থায়ী সমাধানে সদস্য দেশগুলোকে কার্যকর ভূমিকা রাখার আহ্বান জানান তিনি।
বাংলাদেশের পররাষ্ট্র সচিব মো. শহীদুল হক উপস্থিত কূটনীতিকদের সামনে বৈশ্বিক অভিবাসনের সাম্প্রতিক চালচিত্র (মাইগ্রেশন অর্ডার ৩.০) তুলে ধরেন। তিনি নিরাপদ, নিয়মতান্ত্রিক ও নিয়মিত অভিবাসন প্রতিষ্ঠায় একটি কার্যকর ব্যবস্থাপনা গড়ে তোলার বিষয়ে আলোকপাত করেন এবং অভিবাসনের বিভিন্ন সমস্যার কথা তুলে ধরেন। আইওএম ও অভিবাসন নিয়ে কাজ করার সুদীর্ঘ অভিজ্ঞতা বৈশ্বিক কল্যাণে ব্যবহার করতে চান মর্মে উল্লেখ করেন বাংলাদেশের পররাষ্ট্র সচিব।
পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী বাংলাদেশের অর্জিত অভিজ্ঞতার আলোকে ইকোসকের সদস্যপদে বাংলাদেশের প্রার্থিতার প্রতি সমর্থনদানের জন্য উপস্থিত কূটনীতিকদের ধন্যবাদ জানান। উল্লেখ্য, আগামী ১৪ জুন ইকোসকের এই নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে।
উল্লেখ্য, গত ডিসেম্বরে বাংলাদেশ এবং স্পেনকে আন্তর্জাতিক অভিবাসন রিভিউ ফোরামের মোডালিটিস নির্ধারণে কো-ফ্যাসিলেটেটর নিয়োগ দেওয়া হয়। আজ বাংলাদেশ ও স্পেন জাতিসংঘে এই রেজুলেশনের জিরো ড্রাফট এর উপর প্রথম অনানুষ্ঠানিক আলোচনা পরিচালনা করে। যেখানে বাংলাদেশের স্থায়ী প্রতিনিধি ও স্পেনের স্থায়ী প্রতিনিধি কো-ফ্যাসিলেটরের দায়িত্ব পালন করেন। আগত বিদেশী কূটনীতিকদের বাংলাদেশি খাবারে আপ্যায়িত করা হয় এবং ঈদ উপহার হিসেবে বাংলাদেশের চাসহ বিভিন্ন হস্তশিল্প সামগ্রী প্রদান করা হয়। জাতিসংঘ সদরদপ্তরে কর্মরত বাংলাদেশের সামরিক ও বেসামরিক কর্মকর্তাগণও অনুষ্ঠানটিতে উপস্থিত ছিলেন।
Leave a Reply