নারায়ণগঞ্জ প্রতিনিধি :
পঞ্চম ধাপে বন্দর উপজেলা পরিষদ নির্বাচন আগামীকাল মঙ্গলবার (১৮ জুন)। বন্দরের ৫৪টি কেন্দ্রে সকাল ৮টা থেকে ভোটগ্রহণ শুরু হয়ে বিকেল ৪টা পর্যন্ত চলবে। নির্বাচনকে কেন্দ্র করে জেলা পুলিশের পক্ষ থেকে কড়া নিরাপত্তার ব্যবস্থা করা হয়েছে।
সোমবার (১৭ জুন) দুপুরে পুলিশ, আনসার সদস্যদের নিরাপত্তা বিষয়ক ব্রিফিং করেছেন অ্যাডিশনাল এসপি (প্রশাসন) মো. মনিরুল ইসলাম। এদিকে নির্বাচন উপলক্ষে মঙ্গলবার বন্দরে সাধারণ ছুটি ঘোষণা করা হয়েছে।
নির্বাচন অফিস সূত্র বলছে, বন্দর উপজেলায় মোট ভোটার রয়েছেন ১ লাখ ১৪ হাজার ৫শ’ ৫৩ জন। যার মধ্যে নারী ভোটার ৫৬ হাজার ২শ’ ৬৪ জন এবং পুরুষ ভোটার ৫৮ হাজার ৩শ’ ২৯ জন। মোট ভোট কেন্দ্র রয়েছে ৫৪টি।
জেলা পুলিশ সূত্র বলছে, উপজেলা নির্বাচনে প্রতিটি ইউপিতে দুটি করে এবং কলাগাছিয়া ইউপিতে তিনটি মোট ১১টি পুলিশের মোবাইল টিম থাকবে। এছাড়া প্রতিটি কেন্দ্রে পুলিশ, আনসার ও গ্রাম পুলিশ পর্যাপ্ত হারে থাকবে। স্ট্র্যাইকিং পার্টি থাকবে দুটি। তিনজন নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট ও একজন জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট দায়িত্ব পালন করবেন। এছাড়া নির্বাচন উপলক্ষে সদরে একটি স্ট্যান্ডবাই রাইট ফরমেশন মুভমেন্টে থাকবে। নির্বাচনে পুলিশ, আনসার ও গ্রাম পুলিশসহ এক হাজার ৮৯ জন আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী মোতায়েন থাকবে। এছাড়া জেলা এসপি হারুন অর রশীদ সার্বক্ষণিক তদারকিতে থাকবেন।
বন্দরে চেয়ারম্যান পদে কোনো প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থী না থাকাতে বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচিত হয়েছেন আওয়ামী লীগের মনোনীত প্রার্থী এমএ রশীদ। অন্যদিকে ভাইস চেয়ারম্যান প্রার্থী রয়েছেন পাঁচজন। তারা হলেন, জাতীয় পার্টি নেতা সানাউল্লাহ সানু (উড়োজাহাজ), আক্তার হোসেন (বই), মো. নুরুজ্জামান (তালা), হাফেজ পারভেজ হাসান (চশমা) এবং যুবলীগ নেতা শহিদুল ইসলাম জুয়েল (টিউবওয়েল)। এছাড়া মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান প্রার্থী রয়েছেন তিনজন। তারা হলেন, অ্যাডভোকেট মাহমুদা আক্তার (কলস), সালিমা হোসেন শান্তা (ফুটবল) এবং নুরুন্নাহার সন্ধ্যা (হাঁস)।
এদিকে নির্বাচন উপলক্ষে বন্দরে শান্তিপূর্ণ পরিবেশ রয়েছে বলে জানিয়েছেন সহকারী রিটার্নিং কর্মকর্তা ও বন্দর ইউএনও মো. পিন্টু বেপারী। তিনি বলেন, নির্বাচনকে ঘিরে শান্তিপূর্ণ পরিবেশ রয়েছে। সব ধরণের নিরাপত্তা ব্যবস্থা রয়েছে। কোনো ধরণের আশঙ্কা নেই।
Leave a Reply