ময়মনসিংহ প্রতিনিধি
ময়মনসিংহের গফরগাঁওয়ে দুই শ্যালককে গাছের সঙ্গে বেঁধে নির্যাতনের অভিযোগ উঠেছে দুলাভাইয়ের বিরুদ্ধে। গত রোববার সকালে উপজেলার কাচারীপাড়া এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। খবর পেয়ে পুলিশ নির্যাতিত দুই ভাইকে উদ্ধার এবং ঘটনায় জড়িত তাদের দুলাভাই আবু সাঈদকে আটক করেছে।
নির্যাতিতরা হলেন- উপজেলার চরআলগী ইউপির চরমছলন্দ কান্দাপাড়া গ্রামের আব্দুল খালেকের ছেলে ইলিয়াস ও ইকরাস। সোমবার সকালে এ ঘটনায় মামলা করতে গেলে পুলিশ মামলা না নিয়ে ইলিয়াসকে আটক করে রেখেছে।
নির্যাতিতদের পরিবাবের সদস্যরা জানান, প্রায় ১৪-১৫ বছর আগে উপজেলার চরমছলন্দ কান্দাপাড়া গ্রামের আব্দুল খালেকের মেয়ে শিউলির সঙ্গে চরমছলন্দ কাচারীপাড়া গ্রামের আছর আলীর ছেলে আবু সাঈদের বিয়ে হয়। বিয়ের পর থেকেই শিউলি তার স্বামীর সংসারে যৌতুকসহ নানা কারণে অত্যাচারিত ও নির্যাতিত হয়ে আসছে। স্বামীর পরিবারের অত্যাচার সইতে না পেরে গত ৬ মাস আগে শিউলি তিন সন্তানসহ স্বামীর সংসার ত্যাগ করেন। এ ঘটনার জের ধরে উভয় পরিবারের মধ্যে দ্বন্দ্বের সৃষ্টি হয়।
গত রোববার দুই ভাই ইলিয়াস ও ইকরাস তাদের বাড়ির একটি অনুষ্ঠানের জন্য প্রয়োজনীয় কেনাকাটা করার উদ্দেশ্যে দুলাভাইয়ের গ্রামের বাড়ি কাচারিপাড়ার সামনে দিয়ে অটোরিকশা যোগে গফরগাঁও বাজারে যাচ্ছিলেন। এসময় দুলাভাই আবু সাঈদ ও তার পরিবারের সদস্যরা তাদের অটোরিকশার গতিরোধ করে ইলিয়াস ও ইকরাসকে টেনে হিচঁড়ে নামিয়ে তাদের সঙ্গে থাকা নগদ ২০ হাজার টাকা ছিনতাই করে। পরে তারা ইলিয়াস ও ইকরাসকে ধরে আবু সাঈদের বাড়ির ভেতরে নিয়ে একটি কড়ই গাছের সঙ্গে বেঁধে লাঠি দিয়ে বেধড়ক পেটায় এবং এলোপাতাড়ি কিলঘুষি মারে। খবর পেয়ে ইলিয়াস ও ইকরাসের বাবা আব্দুল খালেক কয়েকজনকে সঙ্গে নিয়ে ঘটনাস্থলে গেলে তারা আব্দুল খালেককেও গাছের সঙ্গে বেঁধে নির্যাতন করে। পরে এলাকাবাসীর চাপে আব্দুল খালেককে ছেড়ে দেয়া হয়।
আব্দুল খালেকের পরিবারের লোকজন বিষয়টি গফরগাঁও থানায় জানালে পুলিশ ইলিয়াস ও ইকরাসকে উদ্ধার করে থানায় নিয়ে আসে। এসময় তাদের দুলাভাই আবু সাঈদকেও আটক করা হয়। সোমবার সকালে এ ঘটনায় ইলিয়াস থানায় মামলা করতে গেলে থানা পুলিশ ইলিয়াসকে আটক করে রাখে।
গফরগাঁও থানার ওসি আব্দুল আহাদ খান বলেন, ৬ মাস আগের একটি ঘটনায় ইলিয়াসের বিরুদ্ধে দুলাভাই আবু সাঈদের অভিযোগ করেছে। আবার ইলিয়াসেরও অভিযোগ আছে তার দুলাভাই আবু সাঈদের বিরুদ্ধে। অর্থাৎ দুই পক্ষের পাল্টাপাল্টি অভিযোগ আছে। তাই তাদেরকে আটক করে রাখা হয়েছে। দুই পক্ষের সঙ্গে কথা বলে বিষয়টি সমাধান করা হবে।
Leave a Reply