যুগ-যুগান্তর ডেস্ক :
ছবি: সংগৃহীত
একটি চোখ একটি পৃথিবী। যার চোখ নেই বা চোখে কম দেখেন সে বুঝে দৃষ্টিশক্তি কত মহামূলবান। আল্লাহ তা’য়ালা বান্দাদের জন্য চক্ষু দান করেছেন।
চোখের দৃষ্টিশক্তি অকালে কমতে থাকা ভাবাচ্ছে চিকিৎসকদেরও। সময়ের আগে দৃষ্টিশক্তি কমার জন্য কিছুটা হলেও দায়ী আমরাই।
দৈনন্দিন জীবনে নিজেদের কিছু ভুল তৈরি করছে এই সমস্যা। কখনও নিজেদের অজান্তে আবার কখনও বা কিছু অভ্যাসের দায়ে চোখের ক্ষমতাকে কমিয়ে ফেলছি আমরাই।
চিকিৎসকদের মতে, সে সব অভ্যাসে রাশ টানলে দৃষ্টিশক্তি কমানোকে অনেকটাই আটকানো যায়। অতিরিক্ত টিভি দেখা বা মোবাইল ঘাঁটা ছাড়াও কতগুলো অভ্যাসে ত্যাগ করার পরামর্শ দিচ্ছেন চিকিৎসকরা।
ক্যাটারাক্টের অন্যতম কারণই সূর্যের অতি বেগুনি রশ্মি। তাই তীব্র রোদে যখনই বাইরে যান, তখন সানগ্লাস পড়বেন অবশ্যই। চক্ষুবিশেষজ্ঞের পরামর্শ নিয়ে ইউভি প্রোটেক্টর রোদচশমা ব্যবহার করুন। চোখে পাওয়ার থাকলে তা যোগ করুন সানগ্লাসেও।
চশমার পরিবর্তে কনট্যাক্ট লেন্স ব্যবহার করেন অনেকেই। কিন্তু তেমন যত্নের ধার ধারেন না। লেন্স এক বার পরে আর তা খোলেন না একটানা দু’-তিন দিন। চিকিৎসকদের মতে, এ ভাবে লেন্সের নিয়ম না মেনে তা পরলে চোখের খুব ক্ষতি হয়। অনেকেই লেন্স দেয়া নেয়া করে পরেন। কখনও তা নিছকই স্টাইল ও ফ্যাশন করতেও। এটাও চোখের জন্য খুব ক্ষতিকর।
ঘন ঘন চোখ কচলান। হাতে থাকা রোগ-জীবাণু চোখে লেগে যায় প্রতি বারই। দিনের পর দিন এই কাজ করতে করতে চোখের কর্নিয়ায় সংক্রমণ দেখা দেয়। দৃষ্টিশক্তি কমার নেপথ্যে এটিও একটি কারণ।
চিকিৎসকদের মতে, চোখ কড়কড় করলে ঠান্ডা পানির ঝাপটা দিন। অপরিষ্কার হাতে চোখে হাত দেয়ার অভ্যাস যতটা পারেন কমাতে হবে।
মেকআপ ব্যবহারের সময়ও সচেতন হোন। আপনার মেকআপ কিটে এমন কোনো মেক আপ থেকে যায়নি তো, যার মেয়াদ এরই মধ্যেই ফুরিয়ে গেছে। চোখের প্রসাধনে ব্যবহার করেন এমন মেক আপ ব্যবহারের ক্ষেত্রে বার বার দেখে নিন তা মেয়াদউত্তীর্ণ কি না। সচেতনতার ক্ষেত্রে এটি খুবই জরুরি।
ধূমপানে আসক্তি আছে? এ বার তবে সচেতন হোন। কেবল হার্ট নয়, ধোঁয়া থাবা বসাচ্ছে আপনার চোখেও। ক্যাটারাক্ট তো বটেই, বয়সজনিত ম্যাকুলার ডিজেনারেশানকেও (রেটিনার অসুখ) ত্বরান্বিত করে। দৃষ্টিশক্তি কম হওয়ার অন্যতম কারণ হিসাবে এই ধূমপানকে চিহ্নিত করছেন চিকিৎসকরা।
মাক্রা চাড়ালে বিপদ আছে। বিশেষ করে রাতে আলো নিভিয়ে চোখের কাছে মোবাইল রেখে তাতে সিনেমা দেখা বা ঘণ্টার পর ঘণ্টা চ্যাট, কাড়ছে দৃষ্টি। সাবধান হোন অতএব।
চোখের অসুখ থাকলে তো সময় অনুযায়ী চিকিৎসকের কাছে যেতেই হবে। অসুখ না থাকলেও বছরে দু’বার চক্ষুবিশেষজ্ঞের কাছে যাওয়া খুবই প্রয়োজন। এই কাজে অবহেলা করবেন না। চোখের সামগ্রিক চেক আপ করিয়ে রাখুন।
চোখ লাল হয়েছে। তাৎক্ষণিক ওষুধের দোকানে বলে কিনে ফেললেন ড্রপ। বাজারে প্রচলিত ড্রপ লাগিয়ে নিলেন চোখে। এই অভ্যাস থাকলে আজই তা বদলান। চিকিৎসকের পরামর্শ ছাড়া ড্রপ লাগালে তার পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া কী হতে পারে, বা আপনার চোখে তা কী ধরনের প্রভাব ফেলতে পারে, সে সিদ্ধান্ত চিকিৎসককেই নিতে দিন।
Leave a Reply